আজ

  • সোমবার
  • ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাহিদা মেটাচ্ছে ফেনী নদীর বালু

  • মীরসরাই প্রতিনিধি
  • চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের ফেনী নদী থেকে বালু তোলে চাহিদা মেটাচ্ছে বৃহত্তর ফেনী নদী বালুমহাল সমিতি। সরেজমিনে গিয়ে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নদীর বালু দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম চারলেনের উন্নীত করনের কাজে, স্থানীয়দের বিল্ডিং নির্মাণ,দেশের সর্ববৃহৎ শিল্পজোন (মীরসরাই ইকোনোমিক জোনে) নির্মাণে বৈধভাবে এই বালুই সর্বরাহ করা হয়েছে।

    ফেনী নদীর দক্ষিণ পাশের মোল্লাঘাট, জালিয়াঘাট, ও ফেনী নদীর ধুমঘাট ব্রিজ এলাকাসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যাক স্থান থেকে বৈধভাবে বালু তোলে সারি সারি ডাইস সাজিয়ে রাখা হয়। প্রতিটি ঘাটে প্রায় ২০-২৫টি করে ডাইস রয়েছে। আর এই বালু তোলায় ব্যবহার করা হচ্ছে ছোট ছোট ড্রেজার সংযুক্ত নৌকা। মোটা লোহার পাইপের সাহায্যে নদীর পাশে এই বালু সাজিয়ে রাখা হয়। পরে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ক্রেতারা ট্রাক যোগে এখান থেকে বালু নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন।

    ফেনী নদী বালু মহালটি পরিচালনার জন্য একটি কমিটি রয়েছে যার সভাপতি মো. সোনা মিয়া মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক শেখ সেলিম এবং ব্যবস্থাপক মহসিন আলী। এছাড়াও এ সমিতির মোট সদস্য সংখ্যা ১৬০জন। বালু মহালটির প্রতি বছর ইজারা এবং আনুসাঙ্গিক খরচ আসে প্রায় দেড় কোটি টাকা। এই মহালটি সমিতির লাইসেন্স দারী একজনের নামে ইজারা নেয়া হয়। পরে সমিতির সকল সদস্যের সমন্বয়ে এটি পরিচালনা করা হয়। এছাড়া নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা,বাজারজাত করার জন্য ৩০ সদস্যের একটি উপ কমিটি রয়েছে। তারা নিজ খরচে বালু তোলে করে বাজারজাত করে। আর ইজারাদার ও সমিতির জন্য লভ্যাংশ থেকে ফুট প্রতি ১ টাকা হারে সমিতিতে দেয়া হয়।

    এ বিষয়ে সমিতির সভাপতি মো. সোনা মিয়া মেম্বার বলেন, প্রতি বছরএ বালু মহালটির ইজারা নিয়ে বৈধভাবে সরকারি সব নিয়ম মেনে ব্যবসা করে আসছি। নিয়মিত মিটিংয়ের মাধ্যমে সমিতির সকল সদস্যদের মতামতদের ভিত্তিতে সমিতির সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এখান থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় বালু সরবরাহ করা হয়। এছাড়াও বর্তমানে মীরসরাইয়ে যে ইকোনোমিক জোন করা হচ্ছে সেখানেও বালু সরবরাহ করা হচ্ছে এখান থেকে।

    সম্পাদনা : এএএম/জেডএম


    error: Content is protected !! please contact me 01718066090